শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত বাণী, যা কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে মহান ভগবদ্ভভক্ত অর্জুন মহাশয়কে প্রদান করা হয়েছিল। এটি মহাভারতের ভীষ্মপর্বের ২৫ থেকে ৪২তম অধ্যায়ের আলোচিত বিষয়। ভগবদ্গীতার মূল শ্লোক ও শব্দার্থসহ শ্রীল প্রভুপাদকৃত সরল পদ্য, অনুবাদ ও প্রাঞ্জল তাৎপর্যসমন্বিত ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযথ’ সারা বিশ্বে বৈদিক ধর্ম, দর্শন এবং সংস্কৃতির এক অভূতপূর্ব জাগরণ সৃষ্টি করেছে।
এই মহান শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযথ গ্রন্থ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে পাশ্চাত্যের হাজার হাজার উদ্ভ্রান্ত যুবক-যুবতী আজ বৈদিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষ্ণভাবনার অমৃত পান করছে। শ্রীল প্রভুপাদ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার তাৎপর্যে অত্যন্ত সুন্দরভাবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, বৃত্তির পরিবর্তন না করেই ভগবদ্গীতার আদর্শ শ্রোতা অর্জুনের মতো ভগবদ্ভক্তিপরায়ণ জীবনযাপন করা যায়। ইংরেজি, জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ইটালিয়ান, চীনা, রুশ, আরবিসহ শতাধিক ভাষায় অনূদিত হয়ে সমগ্র বিশ্বে এই গীতা গ্রন্থটি বিতরিত হচ্ছে।
পূর্বে ভগবদ্গীতার অনুবাদসহ বহু সংস্করণ বাজারে প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর কোনোটিই মানব সমাজকে ভগবৎ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পারেনি। কিন্তু ভগবানের শুদ্ধভক্ত শ্রীল প্রভুপাদকৃত এই গীতার সংস্করণটি সমগ্র বিশ্বকে ভগবদ্ভক্তিতে প্লাবিত করছে, কারণ, তিনি ভগবদ্গীতার কদর্থ না করে অবিকৃতভাবেই প্রকাশ করেছেন। বিশ্বের বহু মনীষী এই গ্রন্থটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পশ্চাত্যের শতকরা ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গীতা গ্রন্থটি পাঠ্যপুস্তক হিসেবে র্নিধারিত হয়েছে।
আরো বই দেখতে ক্লিক করুন>>