সবচেয়ে বড় জানা হলো নিজেকে জানা, আমার আমিত্বকে জানা। আমি দেহ, নাকি মন, নাকি অন্য কিছু? নিজেকে জানার অনুপম বিজ্ঞান এই গ্রন্থটিতে রয়েছে বিভিন্ন দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে শ্রীল প্রভুপাদের কথোপকথন ও প্রশ্নোত্তর।
আত্মজ্ঞান লাভের পন্থা বইটিতে বলা হয়েছে আমরা কিভাবে যথার্থ পারমার্থিক জ্ঞান লাভ করতে পারি? জ্ঞান আহরণের দুটি পন্থা রয়েছে– আরোহ পন্থা এবং অবরোহ পন্থা। আরোহ পন্থার অর্থ হচ্ছে ওপরে ওঠার চেষ্টা করা– নিজের শক্তির দ্বারা নিজেকে উন্নত স্তরে অধিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা; আর অবরোহ পন্থার অর্থ হচ্ছে উন্নত পর্যায়ভুক্ত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে, ভগবত্তত্ত্বজ্ঞান সম্পন্ন কোন ব্যক্তির কাছ থেকে বিশুদ্ধ জ্ঞান লাভ করা। তাই আরোহ পন্থাকে বৈদিক জ্ঞান আহরণের উপায় বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বৈদিক জ্ঞানলাভের পন্থা হচ্ছে অবরোহ পন্থা- শিক্ষার্থী শিষ্য সদ্গুরুর কাছ থেকে বিনীতভাবে শ্রবণ করার মাধ্যমে এই জ্ঞান আহরণ করেন। এইভাবে আমরা যথার্থ জ্ঞান লাভ করতে পারি।
আত্মজ্ঞান লাভের পন্থা বইটির মাধ্যমে আরো জানতে পারবেন ভগবান কে? ভগবান খ্রিস্টান নন, অথবা হিন্দু নন, অথবা মুসলমান নন, অন্য কিছু নন। ভগবান হচ্ছেন ভগবান। তোমরা যদি ভগবদ্গীতা বিনীতভাবে কেবল শ্রবণ কর এবং বুদ্ধির দ্বারা তাঁর সেই নির্দেশ পালন করার চেষ্টা কর, তা হলেই তোমরা ভগবানকে জানতে পারবে। তাঁকে এত ভালভাবে জানতে পারবে যে, অজিত যে ভগবান, তিনিও তোমার কাছে পরাভূত হবেন। তোমরা তাঁকে জয় করতে পারবে কেবলমাত্র এই সরল পন্থার মাধ্যমে। তাই শ্রবণের এত গুরুত্ব এবং তাই তা হচ্ছে ভক্তিযোগের প্রাথমিক স্তর। তারপর তুমি যা জানবে, তা যদি তুমি কীর্তন কর, তা হলে এই পারমার্থিক জ্ঞানের পথে তুমি উন্নতি সাধন করতে পারবে। আজ এখানে আমরা যা আলোচনা করলাম–তা যদি যথাযথভাবে তোমরা শ্রবণ করে থাক এবং তা যদি তোমাদের বন্ধু-বান্ধবদের কাছে বা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে তোমরা পুনরাবৃত্তি কর– তা হলে তোমরা সেই জ্ঞানে অধিষ্ঠিত হবে। তাকে বলা হয় কীর্তন। শ্রবণম্-কীর্তনম্–শ্রবণ এবং কীর্তন।
নিজেকে জানার অনুপম বিজ্ঞান এই গ্রন্থটিতে শ্রীল প্রভুপাদের আরো অসংখ্য কথোপকথন ও প্রশ্নোত্তর রয়েছে। বইটি পড়ার পর আপনি নিজেকে নতুনভাবে চিনতে বা আবিষ্কার করতে পারবেন।
আরো বই দেখতে ক্লিক করুন