বাংলাদেশ সিলেটে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য মানবিকতার দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ- ইসকন সিলেট। সিলেট ইসকন মহারাজের নেতৃত্বে সকল ইসকন ভক্তবৃন্দ তাদের জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে সিলেটে বন্যায় দুর্দশাগ্রস্ত অসহায় হাজারো মানুষের পাশে প্রয়োজনীয় খাদ্য , ঔষধ ও প্রয়োজনীয় দ্রবাদি পৌছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আস্রয় স্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
সিলেটে বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা দেখা দেয়ার পর বদলে গেছে সিলেট ইসকন নেতৃবৃন্দের কাজের পরিধি। নিয়মিত পারমার্থিক দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক কাজও করে যাচ্ছেন তাঁরা। নগরীতে কয়েক দিন ধরে পানিবন্দি মানুষজন চরম খাদ্য সংকটে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ করলেও অনেকের ভাগ্যে জোটেনি একমুঠো খাবার। এ অবস্থায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ। মহারাজের এসব কাজ নজর কেড়েছে সবার।
“বন্যা থাকবে যতদিন ইসকন সিলেট খাবার বিতরণ করবে ততোদিন”
~শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ
গতকাল শনিবার(১৮ জুন) থেকে বন্যার্তদের মাঝে শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ এ খাদ্য বিতরন করেন। শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ বলেন, সিলেটে বন্যার কারনে অনেক মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা বন্যার্তদের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। মানুষের পারমার্থিক কল্যাণের পাশাপাশি মানবতার কারণে যা যা করা দরকার আমরা সব করবো। এখানেই শেষ নয়। সিলেট শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিদিন ২ হাজার মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়াও ইসকন সিলেট – সিলেটের বন্যার্তদের জন্য ২০ ওয়ার্ডে প্রায় ৩১ আস্রয় কেন্দ্রে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরনের কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ইসকন বন্যার্তদের পাশে থাকবে। এভাবেই নিয়মিত কৃষ্ণভাবনা প্রচারের পাশাপাশি এসব দায়িত্বও আমরা পালন করবো। খাদ্যের পাশাপাশি আমরা বস্ত্র, চিকিৎসা ও অনান্য সামগ্রী প্রদানের জন্যও প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছি। সকলে সহযোগিতায় তা আরও ব্যাপক আকারে সম্ভব হবে।
খাদ্য বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসকন সিলেটের সাধারন সম্পাদক ভাগবত করুনা দাস ব্রহ্মচারী, ইসকন সিলেটের কো-অর্ডিন্টর দেবর্ষি শ্রীবাস দাস, কোষাধ্যক্ষ অচিন্ত্য নিন্ত্যানন্দ দাস, মোহন গোবিন্দ দাস, নবীন নীল মাধব দাস, দেবেন্দ্র কেশব দাস প্রমূখ।
সকলের সহযোগিতায় এই সেবাকার্য আরও আগ্রসর করা সম্ভব বলে ইসকন সিলেটে কর্তৃপক্ষ জানান।