এ স্থান শ্রী উপেন্দ্র মিশ্রের শ্রীপাট। বুড়ঙ্গাতেও উপেন্দ্র মিশ্রের বসতবাড়ি ছিল। মহাপ্রভুর পিতা শ্রীজগন্নাথ মিশ্র উপেন্দ্র মিশ্রের পঞ্চম পুত্র। উপেন্দ্র মিশ্র ব্রজলীলায় পর্জন্য গোপ ছিলেন, তাঁর পত্নীর নাম কলাবী। মহাপ্রভু যখন পূর্ব বাংলায় ভ্রমণ করছিলেন, তখন হঠাৎ চৈত্র মাসের কোনো এক রবিবারে তিনি তাঁর পিতামহের গৃহে আগমন করেছিলেন। মহাপ্রভুর প্রথম আগমনে ঢাকা দক্ষিণ পর্যন্ত যাননি। তিনি তখন বুড়ঙ্গা দর্শন করেই ফিরে যান। নিমাই পণ্ডিতকে দর্শন করে মিশ্র মহাশয় যৎপরোনাস্তি আনন্দিত হন। তিনি তাঁকে ভেতরে নিয়ে যান। আর পিতামহী তাঁকে সুমিষ্ট কাঁঠাল খেতে দিয়ে বলেন,
পিতামহী বোলে ভাই তুমি নারায়ণ।
স্বপন-যোগেতে মোরে দিলা দরশন \
সেই মধুর রূপ মনে আচে লাগি।
দেখাও দেখাও রূপ আবার মুঞি দেখি \
ভক্তজনে কৃপা করি প্রভু গৌর রায়।
মধুর মুরতি দুইজনারে দেখায় \
মূর্তি দেখে দুজনের মন স্থির হলো। এভাবে মহাপ্রভু পিতামহ-পিতামহীকে কৃপা করে বিদ্যাবিলাসের জন্য পদ্মার তীরে চলে যান।
বর্তমানে এ স্থানে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় সুন্দর আশ্রম, মন্দির এবং বিগ্রহ স্থাপিত হয়েছে। প্রাচীন যে বিগ্রহ, তা ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় সেবকেরা ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে নিয়ে যান। বর্তমানে সেই বিগ্রহ শিলচরেই সেবিত হচ্ছে। বর্তমানে এ স্থানে আবার নতুন করে বিগ্রহ স্থাপন করা হয়েছে।
পথনির্দেশ
বুড়ঙ্গা বা বড়গঙ্গা বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অবস্থিত। সিলেট থেকে মৌলভীবাজারগামী বাসে গোয়ালাবাজার থেকে টেম্পোতে ছয় কিলোমিটার দূরে এ শ্রীপাটে আসা যায়।
আরো তীর্থ স্থান দেখতে ক্লিক করুন>>