এখানে শ্রীল রূপ ও সনাতন গোস্বামীর পিতা কুমারদেবের নির্মিত বাগানবাড়ি ছিল। বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ থেকে রামকেলি যাতায়াতের পথে এখানে বিশ্রাম নেওয়া হতো। শ্রীল সনাতন প্রভুকে হোসেন শাহ্ ফতেহাবাদের অন্তর্গত ইউসুফপুর ও চেঙ্গুটিয়া পরগনা দান করেন। এখানে রাজপ্রাসাদোপম আবাসগৃহ ছিল।
যশোরে ফতেয়াবাদ নামে গ্রাম হয়।
গতায়ত হেতু তথা করিল আলয় \ (শ্রীভক্তিরত্নকর ১/৫৬৬)
শ্রীল রূপ গোস্বামী ও সনাতন গোস্বামী এখানে কিছুদিন বাস করেছিলেন। রামকেলিতে মহাপ্রভুর দর্শনের পর দুই ভাই গৃহত্যাগ করতে মনস্থ করেন। তাই শ্রীরূপ ও শ্রীঅনুপম পরিবারবর্গ ধনসম্পদ নৌকায় করে ফতেহাবাদ (প্রেমবাগ) নিয়ে যান। শ্রীরূপ তখনই মহাপ্রভুকে দর্শন করার জন্য বৃন্দাবন অভিমুখে রওনা হন। আর সনাতন গোস্বামী রামকেলিতে থেকে যান। এখানে বর্তমানে বহু প্রাচীন জিওল বৃক্ষ দেখা যায়। প্রাচীনদের মতে, এ বৃক্ষতলে শ্রীল রূপ ও সনাতন গোস্বামী ভজন করতেন।
নিকটবর্তী অভয়নগর থানাস্থ রামসরায় ইস্কনের উদ্যোগে শ্রীশ্রী রূপ সনাতন স্মৃতি তীর্থ নামক বিশাল মন্দির নির্মিত হয়েছে। সেখানে মহাসাড়ম্বরে শ্রীশ্রীরাধা মদনমোহন জিউ, শ্রীশ্রীজগন্নাথ-বলদেব-সুভদ্রা মহারানী, শ্রীশ্রী গৌরনিতাই সেবিত হচ্ছেন।
পথনির্দেশ
যশোর-খুলনাগামী বাসে প্রেমবাগ নামক স্টপেজে নেমে এ শ্রীপাটে আসা যায়। আর ইস্কন মন্দিরে যেতে হলে নোয়াপাড়ায় নেমে রামসরাগামী অটোরিকশায় যেতে হবে।
আরো তীর্থ স্থান দেখতে ক্লিক করুন>>