গৌরপূর্ণিমা, এ বৈষ্ণবীয় উৎসবটি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে উদযাপিত হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কলিযুগের যুগধর্ম হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র সংকীর্তন আন্দোলনের প্রবক্তা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুরূপে অবতীর্ণ হন। ১৪৮৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৪০৭ শকে) ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ মিশ্র ও শচী দেবীর পুত্ররূপে তিনি আবির্ভুত হন। নিম্ববৃক্ষ তলায় জন্ম বলে পিতৃমাতৃ প্রদত্ত নাম নিমাই।
সন্ধ্যায় শ্রীশ্রীনিতাইগৌরের মহাভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চামৃত, পঞ্চগব্য এবং বিভিন্ন ফলের রস দিয়ে শ্রীবিগ্রহের স্নান সুসম্পন্ন করা হয়। এ সময় ভগবানের প্রতিবিধানার্থে – হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে মহামন্ত্র সংকীর্তন এবং ব্রহ্মসংহিতা থেকে মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়।
গৌরপূর্ণিমা উৎসবে সমগ্র পৃথিবীর বৈষ্ণবগন চন্দ্রোদয় পর্যন্ত উপবাস থাকেন এবং এরপর অনুকল্প (একাদশী) মহাপ্রসাদ গ্রহণ করা হয়। পরদিন জগন্নাথ মিশ্রের উৎসবের দিন অন্যান্য দিনের মতো মহাপ্রসাদ দিয়ে পারণ করা হয়। এদিন গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের জন্য নববর্ষ, কেননা এদিন থেকে নতুন গৌরাব্দ শুরু হয়।