খেতুরী ধাম (শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর)
রাজশাহী জেলাধীন গোদাগাড়ী উপজেলার অন্তর্গত ৬নং কাঠামাটি ইউনিয়নে খেতুরীধাম অবস্থিত। খেতুরী বৈষ্ণবাচার্য শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুরের
রাজশাহী জেলাধীন গোদাগাড়ী উপজেলার অন্তর্গত ৬নং কাঠামাটি ইউনিয়নে খেতুরীধাম অবস্থিত। খেতুরী বৈষ্ণবাচার্য শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুরের
রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক হতে মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে পুঠিয়া রাজবাড়ী। এখানে প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ এক জমিদার
মাঘী শুক্লা সপ্তমী তথা শ্রী অদ্বৈত সপ্তমী তিথিতে বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ বংশে পিতা শ্রীকুবের পণ্ডিত ও মাতা
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর পিতা শ্রীজগন্নাথ মিশ্র ও তাঁর পিতা শ্রীউপেন্দ্র মিশ্রের জন্মস্থান শ্রীহট্টের (বর্তমান সিলেট) ঢাকা
শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতের অনুভাষ্যে শ্রীল রূপ ও সনাতন গোস্বামী প্রভুর বংশপরিচয় সম্পর্কে লিখেছেন-
বুঢ়ণ গ্রামেতে অবতীর্ণ হরিদাস। সে ভাগ্যে সেসব দেশে কীর্তন প্রকাশ \ চৈ. ভা. (আদিখণ্ড ১৬/১৮) কতিপয়
শ্রীসদাশিব কবিরাজের পুত্র পুরুষোত্তম দাস। পুরুষোত্তম দাস কৃষ্ণলীলায় স্তোককৃষ্ণ নামক সখা ছিলেন। তাঁর পুত্র শ্রীকানু ঠাকুর
এখানে শ্রীল রূপ ও সনাতন গোস্বামীর পিতা কুমারদেবের নির্মিত বাগানবাড়ি ছিল। বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ থেকে রামকেলি যাতায়াতের পথে
শ্রী মুরারী গুপ্ত ছিলেন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর বাল্যকালের অন্যতম পার্ষদ। শ্রীশ্রী গৌড়ীয় বৈষ্ণব অভিধানমতে, তাঁর আবির্ভাব
টাঙ্গাইল জেলার বিন্নাউরি গ্রামে বৈষ্ণব সার্বভৌম সিদ্ধ শ্রীল জগন্নাথ দাস বাবাজী মহারাজের আবির্ভাব। ন্যূনাধিক ১৭৪৮ খ্রিষ্টাব্দে
সিলেট জেলার অন্তর্গত পঞ্চখণ্ডই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক বিপ্রবর্গের আদি নিকেতন। এ অঞ্চলে বহু পূর্বের ত্রিপুরার রাজা এক
শ্রীল মাধবেন্দ্র পুরীপাদ খ্রিষ্টীয় ১৪০০ শতাব্দীতে মেঘালয় রাজ্যের পর্বতঘেরা ব্রাহ্মণগাঁওয়ে আবির্ভূত হন। একসময় শ্রীমন্মহাপ্রভু মাধবেন্দ্র পুরীপাদের
বৃষভানু মহারাজ তয়াখ্যাতঃ পুরা যে ব্রজমণ্ডলে। অধুনা পুণ্ডরীকাক্ষো বিদ্যানিধি মহাশয়ঃ \ অর্থাৎ – ব্রজে যিনি বৃষভানু
প্রাক্তন ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বাংলার ময়মনসিংহ জেলার (বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার) মজিতপুর গ্রামে শ্রীল
শ্রীপুষ্প গোপাল শ্রীল গদাধর পণ্ডিত গোস্বামীর দ্বাবিংশতিতম শাখা। তিনি ঢাকা জেলার স্বর্ণগ্রামে বসবাস করেন। শ্রীহরি আচার্য,
সোনাতলা বর্তমান পাবনা জেলার সাথিয়া থানার ইছামতি নদীর পাশে অবস্থিত। সোনাতলা বেশ লম্বাগ্রাম। এটি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর
সাদিপুরিয়া গোপাল শ্রীল গদাধর পণ্ডিত গোস্বামীর বিংশতিতম শাখা। শ্রীহরি আচার্য, সাদিপুরিয়া গোপাল। কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী, পুষ্পগোপাল \
শ্রীল রঘুনাথ ভট্ট গোস্বামীর পিতা শ্রীল তপন মিশ্র বাংলাদেশের ফরিদপুর শহরের পদ্মা তীরস্থ রামপুর গ্রামে আবির্ভূত
শ্রী নিত্যানন্দ প্রভুর প্রিয় দ্বাদশ গোপালের অন্যতম শ্রীল সুন্দরানন্দ ঠাকুর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর গ্রামে আবির্ভূত হন।
শ্রীমন্মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথ চক্রবর্তীকে মামা বলে সম্বোধন করতেন, তাই সকলে এ বৈষ্ণবকে মামা বা মামুঠাকুর বলে
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর অন্তরঙ্গ পার্ষদ শ্রী গদাধর পণ্ডিতের পিতা শ্রীমাধব মিশ্র বেলেটি গ্রামে আবির্ভুত হন। আনুমানিক
হরিদাস ঠাকুর বূঢ়ণের নিজ গৃহ ত্যাগ করে বেনাপোলের জঙ্গলে কিছুদিন অবস্থান করেন। সেখানে একটি পর্ণকুটির তৈরি
এ স্থান শ্রী উপেন্দ্র মিশ্রের শ্রীপাট। বুড়ঙ্গাতেও উপেন্দ্র মিশ্রের বসতবাড়ি ছিল। মহাপ্রভুর পিতা শ্রীজগন্নাথ মিশ্র উপেন্দ্র
একান্ত গৌরভক্ত শ্রীপাট শ্রীজগৎচন্দ্র গোস্বামীর শ্রীপাট। এখানে তিনি আবির্ভূত হন। শ্রীজগৎচন্দ্র গোস্বামী মহাপ্রভুর সমসাময়িক ভক্ত ছিলেন।
শ্রীগদাধর পণ্ডিত গোস্বামীর শিষ্য শ্রীবল্লভ চৈতন্য দাসের শ্রীপাট। “শাখা নির্ণয়” গ্রন্থে বলা হয়েছে- কৃষ্ণ প্রেমময়ং স্বচ্ছং