শ্রী রাধাষ্টমী

শ্রী রাধাষ্টমী

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিত্য লীলাসঙ্গিনী শ্রীমতি রাধারানী এই শুভতিথিতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের নিকট রাধাষ্টমী তিথিটি খুব মহিমান্বিত, শ্রীমতি রাধারানীর করুণা লাভ করে সহজেই কৃষ্ণপ্রেম লাভ করা যায়। রাধারানী হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অন্তরঙ্গা হ্লাদিনী শক্তি এবং একনিষ্ঠ সেবিকা। ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে তিনি জন্মগ্রহন করেন। তাই এই শুভতিথিতে শ্রী রাধাষ্টমী উৎসব উদযাপিত হয়।  এদিন সচরাচর পূর্ণচন্দ্র থাকার কথা না, কিন্তু রাধারানীর পুণ্য আবির্ভাব উৎসব উদযাপনের লক্ষে চন্দ্রদেব তাঁর পূর্ণ কিরণ নিয়ে ধরিত্রীর গগণ জুড়ে প্রকাশিত হয়ছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সকল সখিদের মধ্যে শ্রীমতি রাধারানী সর্বশ্রেষ্ঠা, তিনি বৃন্দাবনের মহারানী।

রাধাষ্টমী তিথিতে মন্দিরকে ফুল ও পুষ্পমাল্যের দ্বারা সজ্জিত করা হয়। প্রাতকালীন শ্রীমদ্ভাগবত প্রবচনে শ্রীমতি রাধারানীর গৌরবান্বিত মহিমা আলোচিত হয়। মধ্যাহ্নে বিভিন্ন ফলের রস এবং বর্ণিল পুষ্পের দ্বারা মহা অভিষেকের আয়োজন করা হয়। ভক্তগণ ১০৮ পদের অধিক ব্যঞ্জন প্রস্তুত করেন। অভিষেকের পর ভোগ নিবেদন এবং মহা আরতি অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যাহ্ন পর্যন্ত পূর্ণ উপবাস পালন শেষে অপরাহ্নে ভক্তগণ মহাপ্রসাদ প্রাপ্তির সৌভাগ্য অর্জন করেন।

Share on

Facebook
Twitter
LinkedIn

অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ​

আরও উৎসব