১৪ বছরের বনবাসের পরে ভগবান রামচন্দ্রের অযোধ্যা প্রত্যাবর্তনের স্মরণে দীপাবলি বা দিওয়ালি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দীপাবলির অর্থ নিম্নরূপ: ‘দীপ’ শব্দের অর্থ প্রদীপ এবং ‘আবলি’ অর্থ , প্রদীপের সারি’ । “দীপাবলী” হলো আলোর উৎসব।
বিশ্বের সেরা চারটি মহাকাব্যের অন্যতম রামায়ণে বর্ণিত হয়েছে, রামকে তাঁর রাজ্য থেকে ১৪ বছরের জন্য বনের মধ্যে নির্বাসিত করা হয়েছিল। বনে রাবণ সীতাকে অপহরণ করে লঙ্কায় নিয়ে যায়। সীতাকে কিছু সময়ের জন্য অনুসন্ধান করার পরে, রাম এবং লক্ষ্মণ বহু বানর যোদ্ধাদের সহায়তায় লঙ্কায় যাওয়ার জন্য একটি সেতু তৈরি করেছিলেন।
অবশেষে বিজয়া দশমীতে ভগবান রাম রাবণকে বধ করেছিলেন। এরপর ভগবান রাম, লক্ষ্মণ এবং সীতা সহ অন্য সহযোগীদের নিয়ে অযোধ্যাতে ফিরে এসেছিলেন। অযোধ্যার বাসিন্দারা, ভগবানের আগমনের প্রস্তুতির জন্য ছাদে এবং বারান্দাগুলিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। পরবর্তীকালে ভগবান রামচন্দ্রকে সিংহাসনে বসানো হয়েছিল। সেদিনের স্মরণে বাড়িতে এবং মন্দিরে দীপ বা প্রদীপ জ্বালানো হয়।
ভক্তরা ভগবান রামকে (ভগবান শ্রীকৃষ্ণ) তাদের অন্তরেও স্বাগত জানাতে চান। আমরা যেমন বিগ্রহকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য মন্দিরটিকে একটি উপযুক্ত জায়গা হিসাবে স্থাপনের আগে মন্দিরটি পরিষ্কার করি, তেমনি আমরা প্রত্যেকেই আমাদের জীবনে ভগবান রামচন্দ্রকে স্বাগত জানাতে চাই, তাঁকে আমাদের হৃদয়ে সিংহাসনে বসাতে চাই। ভগবানের সেখানে থাকার জন্য আমাদের হৃদয়কে প্রস্তুত করার জন্য, আমাদের এটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
তাই, দীপাবলির শুভ উপলক্ষে, আমরা ভগবান রাম এবং কৃষ্ণের দিব্য নামগুলি কীর্তন করি- হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে -এইভাবে হৃদয় শুদ্ধ হয় । তারপরে আমরা আমাদের মনে যথাযথভাবে ভগবান রামকে স্বাগত জানাতে পারি এবং সেখানে তাঁর উপস্থিতি উদযাপন করে আমাদের হৃদয়ের সিংহাসনে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি।