শ্রীল মাধবেন্দ্র পুরীপাদ খ্রিষ্টীয় ১৪০০ শতাব্দীতে মেঘালয় রাজ্যের পর্বতঘেরা ব্রাহ্মণগাঁওয়ে আবির্ভূত হন। একসময় শ্রীমন্মহাপ্রভু মাধবেন্দ্র পুরীপাদের সম্বন্ধে নিত্যানন্দ প্রভুকে বলেছিলেন।
প্রভু কহে ‘নিত্যানন্দ, করহ বিচার।
পুরী-সম ভাগ্যবান জগতে নাহি আর \
দুগ্ধদান-ছলে কৃষ্ণ যাঁরে দেখা দিল।
তিনবারে স্বপ্নে আসি’ যাঁরে আজ্ঞা কৈল \
যাঁর প্রেমে বশ হঞা প্রকট হইলা।
সেবা অঙ্গীকার করি’ জগৎ তারিলা \
যাঁর লাগি’ গোপীনাথ ক্ষীর কৈলা চুরি।
অতএব নাম হৈল ‘ক্ষীরচোরা’ হরি’ \
(শ্রী চৈ. চ. মধ্য ৪/১৭১-১৭৪)
ভক্তিরসে মাধবেন্দ্র আদি সূত্রধার।
গৌরচন্দ্র ইহা কহিয়াছেন বারেবার \
মাধবেন্দ্র পুরীপাদ প্রথম জীবনে ব্রাহ্মণগাঁওয়ে বাস করেন। তাঁরপর তিনি সেখান থেকে নদীয়া জেলার চাকদহের নিকটে বিষ্ণুপুরে বাস করেন। সেখান থেকে তিনি গৃহস্থ আশ্রম পরিত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে বিভিন্ন তীর্থে ভ্রমণ করেন। শেষকালে তিনি ক্ষীরচোরা গোপীনাথ মন্দিরের নিকট রেমুণাতে বাস করেন এবং সেখানেই সিদ্ধিপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে রেমুণাতেই তাঁর সমাধি মন্দির রয়েছে।
শ্রীমাধবেন্দ্রপুরীর আবির্ভাব স্থান ব্রাহ্মণগাঁওয়ের উত্তর পাশ দিয়ে পাটনাই নদী প্রবাহিত। নদীর অপর পাড়ে অনতিদূরে ভারতের মেঘালয় পর্বত উচ্চশিরে দণ্ডায়মান। বর্তমানে মাধবেন্দ্রপুরীর বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ আছে, দেখতে ক্ষুদ্র পাহাড়ের মতো। তাঁর ভজনকুটিরের নিচে ভূগর্ভে পতিত মন্দিরটি একেবারে অবহেলিত অবস্থায় আছে। মন্দিরগাত্র নানাবিধ বন-জঙ্গলে আবৃত।
পথনির্দেশ
ব্রাহ্মণগাঁও বর্তমান বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানায় অবস্থিত। পথ নির্দেশের জন্য পণতীর্থ ইসকন মন্দির থেকে হেঁটে বা মোটরসাইকেলে করে ৭ কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণগাঁও শ্রীপাটে যাওয়া যায়।
আরো তীর্থ স্থান দেখতে ক্লিক করুন>>