শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় বলেছেন ৪.৬

অজোহপি সন্নব্যয়াত্মা ভূতানামীশ্বরো’পি সন্ ।
প্রকৃতিম্ স্বামধিষ্ঠায় সম্ভবাম্যাত্মমায়য়া ।।

অনুবাদ: যদিও আমি জন্মরহিত এবং আমার চিন্ময় দেহ অব্যয় এবং যদিও আমি সর্বভূতের ঈশ্বর, তবুও আমার অন্তরঙ্গা শক্তিকে আশ্রয় করে আমি আমার চিন্ময় রূপে যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।

জন্মরহিত ও চিরন্তন হলেও, পরমেশ্বর ভগবান তাঁর স্বতন্ত্র ইচ্ছা এবং অপার করুণার দ্বারা, ধার্মিকদের উদ্ধার এবং পাপীদের ধ্বংস করার জন্য অবতীর্ণ হন। এদিন বিশ্বজুড়ে হাজারো মন্দিরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা হয়। শ্রীকৃষ্ণ পাঁচ হাজার বছর পূর্বে মথুরায় দেবকী ও বসুদেবের অষ্টম সন্তান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। কৃষ্ণের লীলার স্থানের মন্দিরগুলি মথুরা (যেখানে কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন) বৃন্দাবন (যেখানে তিনি তাঁর শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন) এবং দ্বারকা (যেখানে তিনি তাঁর পরবর্তীকালের লীলাসমূহ প্রকাশ করেছিলেন) অবস্থিত।

“কৃষ্ণ” শব্দের অর্থ সর্বাকর্ষক ,অর্থাৎ তিনি যে সকলের কাছে আকর্ষণীয়। ঐতিহাসিকভাবে, শ্রীকৃষ্ণ ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী দিনের মধ্যরাতে আবির্ভূত হন।

ভগবান কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী বিশ্বজুড়ে সমস্ত ইসকন মন্দিরে খুব আড়ম্বরে পালিত হয়। জন্মাষ্টমীর উৎসবে, পূর্বের সন্ধ্যায় পবিত্রতাকে আহ্বান জানাতে এবং ভক্তদের পরের দিনের উৎসবের জন্য প্রস্তুত করার জন্য একটি অধিবাস অনুষ্ঠান করা হয়। ভক্তগণ জন্মাষ্টমীর মধ্যরাত অবধি উপবাস থাকেন এবং রাধা ও কৃষ্ণের লীলার স্মরণে বিভিন্ন পারমার্থিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মধ্যরাতে দুধ, দই, ঘি, মধু, শর্করা জল এবং তাজা ফলের রস ইত্যাদি পবিত্র উপাদান দিয়ে রাধা এবং কৃষ্ণ বিগ্রহের মহা অভিষেক সম্পন্ন করা হয়। ভক্তরা মধ্যরাত্রির পরে কোনো প্রকার শস্যবিহীন অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করেন।

Share on

Facebook
Twitter
LinkedIn

অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ​

আরও উৎসব