ভগবান শ্রীরামের আবির্ভাব তিথিতে রামনবমী উদযাপন করা হয় । বৈষ্ণব পঞ্জিকানুযায়ী দিনটি খুবই মাহাত্ম্যপূর্ণ। তিনি ত্রেতাযুগে রাম অবতার রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।
ভগবান শ্রীরাম অযোধ্যার রাজা দশরথ ও রাণী কৌশল্যার পুত্র হিসেবে আবির্ভূত হন । ভারত, লক্ষ্মণ ও শত্রঘ্ন নামে তাঁর তিনজন অনুজ ছিলেন । ২০ লক্ষেরও অধিক বছর পূর্বে একজন আদর্শ রাজার মতো সমগ্র পৃথিবী শাসন করেছেন। পিতা মহারাজ দশরথের আদেশে ভগবান রামচন্দ্র স্ত্রী সীতাদেবী এবং ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে ১৪ বছর বনবাসে ছিলেন । অসুরশ্রেষ্ঠ রাবণ কর্তৃক সীতাদেবী অপহৃত হওয়ার পর শ্রীরামচন্দ্র বিশ্বস্ত সেবক হনুমানের সহায়তায় রাবণকে তার সৈন্যসামন্তসহ বধ করে সীতা দেবীকে মুক্ত করেন। বাল্মীকি মুনী কর্তৃক রচিত ও রামায়ন গ্রন্থে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের লীলা বর্ণিত আছে।
ভগবান শ্রীরাম ছিলেন একজন আদর্শ স্বামী, ভ্রাতা এবং শিক্ষক। তিনি ছিলেন আদর্শ পুত্র। তিনি পিতৃ আজ্ঞা নির্বাহে দৃঢ়নিষ্ঠ ছিলেন। একজন আদর্শ রাজার মতন ১৪,০০০ বছর রাজত্ব শাসন করেছেন। এখনও তার রাজত্বকালকে রামরাজ্য বলা হয়। রামরাজত্বে কোনো দুর্ভিক্ষ, অভাব-অনটন এবং রোগ ছিল না । প্রজাদের সাথে দৃঢ় ভালবাসার সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। প্রজারা তাঁর সন্তুষ্টি বিধান এবং সেবার জন্য জীবিকা নির্বাহ করতেন । তিনি দুরাচারীদের শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনে শাস্তি প্রদান করতেন । ভগবান রামচন্দ্র ছিলেন সুদর্শন, শক্তিশালী, সাহসী, চিত্তাকর্ষক, ভদ্র , অমায়িক দয়ালু এবং সর্বদা ভক্ত ও প্রজাদের প্রতি করুনাময়।